বগুড়ার নন্দীগ্রামে টেকর সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে জুয়ার আসর পুলিশের অভিযানে পন্ড হয়ে গেছে। তবে কোন জুয়ারুকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে পালিয়ে যায় জুয়ারুরা।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, উপজেলার ৩নং ভাটরা ইউনিয়নের টেকর গ্রামে অবস্থিত সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর চালাচ্ছেন টেকর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে মো, জলিল।

বিষয়টি জানতে পেরে বুধবার (২৪শে আগস্ট) রাতে অভিযান চালায় কুমিড়া পুন্ডিতপুকুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র।তবে কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে পালিয়ে যায় জুয়ারুরা।

গ্রামবাসী ও এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে জুয়ার আসর চালাচ্ছেন টেকর গ্রামের মো, জলিল। সন্ধার পর বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে বড় বড় জুয়ারু এসে তাদের মোটর সাইকেল টেকর গ্রামের আকরাম হোসেনের বাড়িতে রেখে সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে সারারাত জুয়া খেলে ভোরে চলে যায়। কেউ প্রতিবাদ করলে জলিল সহ তার সাঙ্গপাঙ্গ সরাসরি মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

পুলিশের অভিযানের বিষয়ে জুয়ারুরা কিভাবে আগে থেকেই জেনে যায় এমন প্রশ্নের উত্তর মিলল স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি টেকর গ্রামের শামীম হোসেন কাছে। শামীম হোসেন বলেন, এখানে পরিকল্পিত ভাবে জুয়ার আসর চালানো হয়।

খেলা চলাকালীন সময় উত্তর সাইড পুন্ডিতপুকুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে, ব্রিকুঞ্চি গ্রামের মোরে এবং দক্ষিন সাইড শিমলা বাজার ও ভাটরা রাস্তার মোরে মোরে পাহারাদার রাখা হয় তারাই পুলিশের অবস্থান জুয়ারুদের ফোনে জানিয়ে দেয়। তখন জুয়ারুরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

উক্ত জুয়া পরিচালনাকারী জলিল এর কাছে জুয়ার আসর বসানো ও পুলিশের হাত থেকে বার বার বেঁচে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুয়ার আসর আমি চালাই তো কি হয়েছে। আমাদের কাজ আমরা করবো পুলিশের কাজ পুলিশ করবে।

গতকাল রাতেও পুলিশ আমাদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে। মনে রাখবেন পুলিশ এসে পৌছার আগেই আমরা খবর পেয়ে যাই। তবে এর পর জুয়া চালালে উপরমহল ম্যানেজ করেই চালাবো।

উক্ত বিষয়ে কুমিড়া পুন্ডিতপুকুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মুসতাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, টেকর সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে জুয়ার আসল চলছে এমন তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়, কিন্তু পুলিশের অবস্থান টের পেয়ে জুয়ারুরা পালিয়ে গেছে।

সেখানে জুয়া খেলার সরঞ্জামাদি পরে ছিল। এসব জুয়ারুদের ধরতে পুলিশ এর আগেও কয়েকবার সেখানে অভিযান চালিয়েছে, অজ্ঞাত কারণে জুয়ারুরা অভিযানের বিষয়ে আগেই খবর পেয়ে যায় এবং পালিয়ে যায়।

তবে টেকর সরকারি আশ্রয়ন কেন্দ্রে জুয়ার আসর সহ নন্দীগ্রামে সকল প্রকার জুয়া বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কলমকথা/এমএনহাসান